সন্তান লালনে আপনি কতটুকু সচেতন❓❓❓

পিতা মাতার জন্য সন্তান অনেক বড় নেয়ামত। সন্তানদের ছোট বেলা থেকেই ইসলামিক নৈতিক শিক্ষা দিন। আপনার সন্তান কি করছে, কোথায় যাচ্ছে, কাদের সাথে চলাফেরা করছে খোঁজ খবর নিন। লাগামহীন চলাফেরা থেকে সন্তানকে বারণ করুন। সন্তানদের সময় দিন, তাদের আচরণ পর্যবেক্ষণ করুন। চলাফেরায় পরিবর্তন দেখলে পরিমার্জন করার জন্য প্রয়োজনে শাসন করুন। অনাকাঙ্খিত কর্মের জন্য অন্য কেউ উপযুক্ত শাসন করলে কখনো অভিযোগ করবেন না।

 

আপনার সন্তান নষ্ট হয়ে গেলে অন্য আরো দশটা পরিবারের সন্তানকে নষ্ট করে ফেলবে। অবিভাবক হিসাবে আপনার কর্তব্য হলো ছোট বেলা থেকেই ভালো মন্দের পার্থক্য শিক্ষা দেওয়া। সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষা দান করা আবশ্যক,তাই ছোট বেলা থেকেই নিয়মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাতে হবে।

 

প্রায়ই শোনা যায় সন্তান অশ্লীল ভাষায় মা বাবাকে গালমন্দ করে এবং অন্যায়ভাবে প্রহার করতেও দ্বিধা করেনা। বর্তমান সময়ে দশ থেকে বারো বছরের সন্তানরা ভয়ানক নেশার সাথে জড়িয়ে পড়ছে। পরিবেশ কিংবা সংস্পর্শের দোহাই না দিয়ে সন্তানগুলোকে শিষ্টাচার এবং সভ্যতা শিক্ষাদানে আপনি কতটুকু ভূমিকা পালন করেছেন তা নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুন। 

চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে এমন কোন উপায় উপকরণ দিবেন না যা আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে ফেলবে।

 ছোট বেলা থেকেই ইসলামিক নৈতিক শিক্ষা না দেওয়ার ফলে সন্তানদের আচার-আচরণ নষ্ট হয়ে যায়। আপনার সন্তান যেনো সমাজের ক্ষতির কারণ না হয় সেজন্য ইসলামিক শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।

বেশির ভাগ সময় সন্তান পিতার মাতার অবাধ্য হয় সঠিক শিক্ষায় গড়ে না তোলার কারণে। ক্ষতিকর দিক এবং মন্দ উপায় উপকরণ দেওয়া থেকে অবশ্যই পিতা মাতাকে সচেতন হতে হবে।

 

হারাম উপার্জন এবং সন্তানের সামনে কখনো মন্দ আচরণ করা যাবেনা কারণ এতে করে তারা আপনার কাছ থেকে শিখবে। সন্তান লালনে অবশ্যই আপনাকে সচেতন হতে হবে না হয় ভবিষ্যতে পরিবার এবং সমাজ নষ্টের কারণ হবে। অন্যের প্রতি অভিযোগ না রেখে আপনার সন্তানের শাসনের ব্যপারে নিজে সচেষ্ট হোন।

চেষ্টায় ব্যর্থ হলে আল্লাহর কাছে পরিবর্তনের জন্য দোয়া করুন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Telegram
Email

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *